ক. আমাদের সমাজে তথাকথিত মাজার ও খানকাগুলো মূলত অজ্ঞ লোকদের নিকট থেকে কৌশলে অর্থ উপার্জনের একেকটি ফাঁদ ও ধর্ম ব্যবসার কেন্দ্র। প্রতিটি পীরের খানকাই কমবেশি এই অপকর্মে জড়িত।
এই ধর্ম ব্যবসায়ীরা নানা ছলে-বলে, কলা-কৌশলে ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ লোকদের ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগিয়ে প্রতিনিয়ত বিশাল অংকের অর্থ-কড়ি কামিয়ে নিচ্ছে। অথচ ইসলামের দৃষ্টিতে কবর বা মাজারে টাকা-পয়সা, গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি ইত্যাদি কোনও কিছু মানত করা, মৃত ওলি-আওলিয়াদের উদ্দেশ্যে দান করা বা পশু জবেহ করা সম্পূর্ণ হারাম।
খ. মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্য চল্লিশা পালন, শবিনা খতম এবং মিলাদ ও দুআ করে পয়সা উপার্জন করা ধর্ম ব্যবসার শামিল। কারণ মৃত বরণের ৪০তম দিনে চল্লিশার নামে ধুমধাম করে ভোজসভার আয়োজন করা, মিলাদ ও সম্মিলিত দুআ অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ হারাম ও বিদআতি কাজ। ইসলামে এসবের কোনও অনুমতি নাই।
গ. মৃত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজনের নিকট নামাজের কাফফারা হিসেবে টাকা-পয়সা ও ধান-চাল আদায় করাও একটি ধর্ম ব্যবসা। কারণ ইসলামের মৃত ব্যক্তির নামাজের কাফফারা বলে কিছু নেই।
ঘ. বিভিন্ন উপলক্ষে তথাকথিত মানুষের বাড়িতে বাড়িতে মিলাদ করে অর্থ উপার্জন করা ধর্ম ব্যবসা ও হারাম ধান্ধাবাজির অন্তর্ভূক্ত। কারণ ইসলামের দৃষ্টিতে মিলাদ করা বিদআত যা ইসলাম সমর্থন করে না।
ঙ. মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার ফান্ড আত্মসাৎ করা হল, চুরি। ইসলামের দৃষ্টিতে চুরি কবিরা গুনাহ। এই চোরেরা ধর্মীয় কাজের নামে মানুষের দান-সদকা আত্মসাত করে।
চ. যে সব বক্তারা জনপ্রিয়তা অর্জন বা ওয়াজের মার্কেট ধরার স্বার্থে সত্যের সাথে মিথ্যার ও হকের সাথে বাতিলের সংমিশ্রণ ঘটায়, সত্য গোপন করে এবং ‘যেখানে যেমন সেখানে তেমন’ নীতি ধারণ করে ওয়াজ ব্যবসা করে তারাও ধর্ম ব্যবসায়ী ও প্রতারক।