এই নুরুল হক হচ্ছে কুমিল্লা জেলার, ভূতাইল গ্রামের একটা ছেলে। এবং এর থেকে ভয়ঙ্কর পরিচয় হচ্ছে সে একজন মৌলবাদী গোষ্ঠীর সাপোর্টার। তাকে হিজবুত তাওহীদ , হেফাজত ইসলাম, দেওয়ানবাগী এই মৌলবাদী গুষ্টিদের চক্রে পড়ে। সে “লাভ জিহাদ” সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে। লাভ জিহাদ সংক্ষেপে আমি উপস্থাপন করছি। এটা বিধর্মী মেয়েকে বুঝিয়ে বাজিয়ে প্রেমের জালে ফেলে তাকে বিয়ে করে ইসলাম ধর্ম অনুসারী করানোর সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা। এটা কি লাভ জিহাদ বলে। যদি সে বিয়ে করে তার সাথে সংসার চালিয়ে যেত। তাহলে আমি ব্যাপারটাকে খারাপ ভাবে দেখতাম না। কিন্তু এই লাভ জিহাদের কর্মকাণ্ড হচ্ছে তাকে বিয়ে করে তার ধর্ম পরিবর্তন করিয়ে। তাকে ডিভোর্স দিয়ে দেওয়া। যার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
কিছুদিন ধরে শোনা যাচ্ছে, “লাভ জিহাদ” । এই “লাভ জিহাদ” আসলে কি? দেখুন, আপনি কি মেনে নিবেন আপনার মেয়েকে বুলিয়ে বালিয়ে- বুঝিয়ে সাজিয়ে বিয়ে করে। হিন্দু থেকে মুসলিম ধর্ম তে রূপান্তর করে, ছেড়ে দেওয়া। যাকে আমরা শুদ্ধ ভাষায় বলি ডিভোর্স দেওয়া। আমি একজন মুসলিম। আমি মুসলিম হয়েও এগুলো মেনে নিতে পারছি না। মানুষের জীবন একটাই। এটা কেন এরকম ভাবে নষ্ট হবে? ইসলামের নামে এই মৌলবাদী গোষ্ঠীদের জন্য আমাদের এই ইসলাম আর কত কলঙ্কিত হবে? “দেশ আমার, ধর্ম আমার, আপনি কেন আমার জীবন নষ্ট করবেন? ” এই প্রশ্নটা জাগে?
দেখুন আমার দৃষ্টিতে, এটা কোন ধরনের জিহাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। এটা হচ্ছে ইসলামের নামে একটা অপপ্রচার। এটার জন্য জানতে গেলে হুজুর হতে হবে না। ভালো ও খারাপের পার্থক্য ও করতে পারলেই হবে। আমি একটা মেয়ের জীবন কিভাবে নষ্ট করব? এই প্রশ্নটা কেন মৌলবাদীদের মগজ বিদ্যা হয় না? একটা মেয়ের জীবন নষ্ট করা এটা কি কোন জিহাদের মধ্যে পড়ে? আপনারা যার যার বিবেক দিয়ে চিন্তা করুন।
ইসলামের নামে অপপ্রচার, ইসলামের নাম ব্যবহার করে জঙ্গিবাদ আর কত চলমান থাকবে? এখনই সময় সচেতন হওয়ার।