বিয়ে নিয়ে আমাদের দেশে বিশেষ করে মুসলিম সমাজে কুসংস্কারের রই রই অবস্থা। এত কুসঃস্কারের চাপায় মুসলিম বিয়ের সুন্নাহ পদ্ধতিই সমাজ থেকে হারিয়ে গেছে। তাই নতুন প্রজন্মকে সুন্নাহ অনুসারে বেশি বেশি বিয়ের আয়্জেন করে কুসংস্কার গুলো দূর করতে এগিয়ে আসতে হবে।
কুসংস্কার গুলো সাধারণত দুই প্রকারঃ
১) বিয়ের পূর্বে অর্থাৎ পাত্র/পাত্রি নির্বাচন করার সময়ঃ
- শনিবার বা মঙ্গলবার পাত্র/পাত্রি দেখতে গেলে অকল্যাণ হয়।
- পাত্রির অনুমতি ছাড়াই জোর জবরদস্তি করে বিয়ের ব্যবস্থা করা।
- সুন্দরি ও ধনীর দুলালি পাত্রি ছাড়া বাকিরা অচল।
- বেপর্দা পরিবেশে ও নন মাহরাম কর্তৃক প্রকাশ্যে বাজারে বিক্রিযোগ্য গরু ছাগলের মত করে পাত্রি দেখা।
- পাত্রের টাকা /সরকারি চাকরি থাকলে বয়স/জাত/সাইজ সব পাপ মাফ।
- মাথায় যৌতুকের চিন্তা ছলে বলে কৌশলে অথবা প্রকাশ্যে।
- মোটা অঙ্কের মোহরানা ধার্য করা এবং মোহর সমবপূর্ণটাই বাকি রাখা।
২) বিয়ের সময়ের কুসংকারঃ
- জাকজমক করে বিয়ে বাড়ি ২/৩ দিন আগে থেকেই সাজানো এবং বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে শয়তানকে খুশি করা।
- ঘটা করে নারি পুরুষের উপস্থিতিতে পাত্র ও পাত্রির বাড়িতে গায়ে হলুদের আয়োাজন করা বা মাখানো।
- অশ্লীল গীত, গান ও নাচের আয়োজন করা।
- বর পক্ষকে কনের বাড়িতে ঢুকতে পদে পদে বাধা ওেয়া এবং চাদা আদায় করা।
- মাহরাম নারি দিয়ে বরকে রিসিভ করা।
- অধিক সংখ্যক মেহমান নিয়ে পাত্রির বাড়িতে হাজির হওয়া এবং মেয়ের বাবার উপর বাড়তি বোঝা চাপানো।
- বিয়ে পড়ানোর পর পাত্রিকে কোলে করে বরের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
- বিভিন্ন প্রকারের সাবান ও সুগন্ধি দিয়ে পরআহীন তরুণিকে দিয়ে বরের হাত ধোয়ানো।
- অসংখ্য আইটেমের সীমাহিন খাবারের আয়োজন করা এবং খাবারের অপচয় করা।
- বিবাহ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন উপঢৌকন মেহমানদের কাছ থেকে আদায় করা।