রাজনৈতিক ধর্ম ব্যবসা:

– এক শ্রেণীর মানুষ নির্বাচনের আগে মাথায় পট্টি বাধে, হাতে তাসবিহ নিয়ে জায়নামাজে বসে বা দু হাত তুলে মুনাজাতের ভঙ্গিতে পাক্কা মুসল্লি সেজে দেয়ালে দেয়ালে ছবি পোস্টারিং করে, টুপি-পাঞ্জাবী পরে ধার্মিক সাজে, ভোটের আগে মসজিদ-মাহফিলে টাকা-পয়সা দান করে দীনের একনিষ্ঠ খাদেমের রূপ ধারণ করা কিন্তু ক্ষমতায় আসার পরেই তাদের মুখোশ খুলে যায়। এই মুখশধারী কপট লোকগুলোই একটু সুযোগ পেলেই দীন ইসলাম ও দীনদার মানুষদেরকে নানাভাবে অপমানিত ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে এবং ইসলামি আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। এরাই হল, রাজনৈতিক ধর্ম ব্যবসায়ী ও ধোকাবাজ।

– আরেক শ্রেণীর মানুষ কেবল রাজনৈতিক স্বার্থে “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” ব্যবহার করে কিন্তু ক্ষমতায় এসে ‘বিসমিল্লাহ’র সম্মান রক্ষা করে না, ইসলামি আইন বাস্তবয়ন করে না বরং তা কেবল জনগণকে ধোকা দিয়ে ভোট হাসিলের উদ্দেশ্যে কাজে লাগায় তারা ধর্ম ব্যবসায়ী ও প্রতারক। এরা তাদের নিজস্ব স্বার্থে ধর্মকে ব্যবহার করে।

যেভাবে একসময় পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী ইসলাম ধর্মকে ব্যবহার করতো নিজেদের গদি ধরে রাখার স্বার্থে। 

তথাকথিত চেতনা ব্যবসাও অনুরূপ একটি বিষয়। এই চেতনার মুখোশ পরেই এই স্বার্থান্বেষীরা  রাজনৈকিত স্বার্থ সিদ্ধি, অর্থ উপার্জন ও ক্ষমতার মসনদটা ধরে রাখে।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *