মুসলিম বিশ্বকে জঙ্গি কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হতে হচ্ছে।

সন্ত্রাস ইত্যাদি মুসলিম উম্মাহর ইতিহাসে কখনো দেখা যায় নি। ‘সভ্যতার সংঘাত’ থিওরি আবিষ্কারের পূর্বে বিগত দেড় হাজার বৎসর ধরে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ‘জিহাদ’ নামে এরূপ সন্ত্রাস কখনোই দেখা যায় নি। রাষ্ট্রীয়ভাবে পরিচালিত যুদ্ধের ময়দান ছাড়া কোথাও কোনো মুসলিম ব্যক্তিগতভাবে বা দলগত ভাবে কাউকে গুপ্ত হত্যা করেছে, কারো বাড়িতে অগ্নি সংযোগ করেছে…. ইত্যাদির কোনো নযির আমরা দেখতে পাই না। ‘সভ্যতার সংঘাত’ থিওরি আবিষ্কারের পরে পাশ্চাত্য বিশ্ব নিজ প্রয়োজনেই এ অবস্থা তৈরি করে নিয়েছে।

১ম বিশ্বযুদ্ধে তুরস্কের পতন ও মুসলিম বিশ্বে উপনিবেশ স্থাপনের মাধ্যমে ক্রুসেডের সমাপ্তি হয়েছে বলে ধারণা করেছিলেন তারা। বিংশ শতাব্দীর ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে, বিশেষত সেভিয়েট ইউনিয়নের পতনের পরে তারা হিসাব নিকাশ পাল্টে ফেলেন। তারা ‘সভ্যতার সংঘাতের’ থিওরী উপস্থাপন করেন। তারা ভালভাবেই উপলব্ধি করেন যে, মুসলিম বিশ্বকে তার নিজের গতিতে অগ্রসর হতে দিলে ২১শ শতকের প্রথমার্ধেই মুসলমানগণ ‘বিশ্ব শক্তিতে’ পরিণত হবে। কিছু ভন্ড পীরদের জন্য সকল মুসলিম জাতি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। সন্ত্রাসীমূলক কার্যক্রম থেকে বেঁচে থাকতে হলে আমাদের ইসলাম সম্পর্কে আরো ভালো জ্ঞান অর্জন করতে হবে।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *