বাংলাদেশের মাটিতে আইএস-এর মত জঙ্গি সংগঠনকে স্থান দিবে না

এই পবিত্র মাটিতে কখনো আইএসের মত জঙ্গি সংগঠনের ঠাঁই হবে না। বাংলাদেশ সরকার আইএসকে স্থান দেয়নি, ভবিষ্যতেও দিবে না। সকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আগারগাঁওস্থ সভাকক্ষে গবেষণা বিভাগ আয়োজিত তুরস্কের প্রেসিডেন্সী অব রিলিজিয়াস এ্যাফেয়ার্স এর প্রতিনিধি দলের সাথে আলেম-ওলামাদের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ইসলাম শান্তি, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের ধর্ম। ইসলাম নিয়ে রাজনীতি করার কারণে এর মানবতাবাদী দর্শন ভূলুন্ঠিত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, যারা বায়তুল মুকাররম মসজিদে জায়নামাযে আগুন দিয়েছে ও কুরআন শরীফ পুড়িয়েছে তাদেরকে বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে।ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজালের সভাপতিতেব অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরস এর গভর্নর এ্যাডভোকেট শেখ মোঃ আবদুল্লাহ, গভর্নর মিছবাহুর রহমান চৌধুরী, গভর্নর শায়খ আল্লামা গোলাম মওলা নকশেবন্দী, সাবেক সচিব ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন বোর্ড অব গভর্নরস এর গভর্নর সিরাজউদ্দিন আহমেদ, ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্সি অব রিলিজিয়াস এ্যাফেয়ার্সের এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিচালক শুফরম্ন জাতিন ও ফরেন রিলেশন বিশেষজ্ঞ ইব্রাহিম ক্ল্যাভিজো প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর মিছবাহুর রহমান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ইসলামকে ভালবাসে এবং ইসলামের চর্চা করে। ইসলামের নামে কোন সন্ত্রাসী কার্যকলাপকে এ দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ সমর্থন করে না। বাংলাদেশ সরকার সবসময় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে অঙ্গীকারবদ্ধ। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরস এর গভর্নর এ্যাডভোকেট শেখ মোঃ আবদুল্লাহ বলেন, আলিয়া ও কওমী আলেমগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় দেশ এগিয়ে যাবে এবং দেশ থেকে সহিংসতা ও জঙ্গিবাদ নির্মূল হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর শায়খ আল্লামা গোলাম মওলা নকশেবন্দী বলেন, ইসলাম সন্ত্রাসী ধর্ম নয়, ইসলাম শান্তি ও ভালবাসার ধর্ম।তুরস্কের প্রেসিডেন্সী অব রিলিজিয়াস এ্যাফেয়ার্স এর প্রতিনিধিগণ বলেন, তুরস্ক এবং বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ককে আরো সহযোগিতামূলক করার জন্যই তারা কাজ করে যাচ্ছে। ইসলাম ধর্মকে কেন্দ্র করেই দুই দেশের ভ্রাতৃত্বমূলক সম্পর্ককে আরো জোরদার করতে হবে। আর এই সম্পর্কের মাধ্যমে দুই দেশের মুসলিম জনগণ আরো লাভবান হবে। ইসলাম সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী ধর্ম এই ধারণাকে ভুল প্রমানিত করার জন্যই মুসলিম দেশগুলোকে হানাহানি ভুলে পারস্পারিক সহযোগিতার লক্ষ নিয়ে কাজ করতে হবে।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *