বাংলাদেশে ২০০৯ সালে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল হিজবুত তাওহিদ সংঘটনের বিরুদ্ধে

বাংলাদেশে ২০০৯ সালের ২২ই অক্টোবর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার প্রেসনোট জারি করে হিযবুত তাহ্‌রীর নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ওই প্রেসনোটে সংগঠনটিকে ‘শান্তি শৃঙ্খলা এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশে জঙ্গী তৎপরতা বিষয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছেন মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, হিযবুত তাহ্‌রীরকে যখন নিষিদ্ধ করা হয় তখন তাদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ এনেছিল আওয়ামী লীগ সরকার।

“দেশের অভ্যন্তরে এবং দেশের বাইরে যোগাযোগ মিলিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ এনেছিল এবং তার প্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই করা হয়েছিল কি না এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল একটা প্রেসনোটের মাধ্যমে তাদের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে,” বলেন মি. খান।“কিন্তু তারপরেও আমরা দেখেছি দেশের প্রায় সব অঞ্চলে হিযবুত তাহ্‌রীরের পোস্টার, লিফলেটিং এবং বিভিন্ন সময় তাদের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা। এমন একটা সময়ে হিযবুত তাহ্‌রীরকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল কারন তারা দেশের ভেতরে অনেক জঙ্গী সংগঠন তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছিল এবং সশস্ত্র আক্রমণের ঘটনাও আমরা দেখেছি।”অন্যান্য সমালোচকদের মতে হিযবুত তাহরীরের মুখে সন্ত্রাসের বিরোধিতা করলেও গোপনে সন্ত্রাসের উপযুক্ত সময় আসার জন্য অপেক্ষা করছে, এবং এই দলটির প্রচারণার কারণে সশস্ত্র সংঘাতের পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে। লেখক অলিভিয়ের রয় এর মতে, “জিহাদ শুরু করার বিরুদ্ধে হিযবুত তাহরীরের অবস্থান সম্পূর্ণরূপে কৌশলগত। সংগঠনটি বিশ্বাস করে যে জিহাদের সময় এখনও আসেনি, তবে এটা যেকোনো মুসলিমের জন্য একটা বাধ্যতামূলক কর্তব্য।” গ্লোবাল সিকিউরিটি ডট অর্গ নামের বিশ্লেষক সংস্থার মতে, হিযবুত তাহরীর হলো একটি মৌলবাদী গুপ্ত সংস্থা যা সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক। আপাতত সন্ত্রাসের বিরোধী হলেও এরা জিহাদ বা ধর্মযুদ্ধের প্রচারণা চালাচ্ছে।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *